বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
আজকের দিগন্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ— এই পৃথিবীর রহস্যময়তার যেন কোনো শেষ নেই। প্রকৃতি তার অবাক করা সব সৃষ্টি দিয়ে মানবজাতিকে বিস্মিত করে সবসময়। সারা পৃথিবীজুড়ে এমন সব অপার্থিব সৌন্দর্যের জায়গা আছে যা দেখলে আপনার মনে হবে এ যেন কল্পনার রাজ্য, এটি কোনো পৃথিবীর জায়গা নয়।
তেমনি দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ায় অবস্থিত মরুভূমি “সালার দে ইয়ুনি”। প্রায় ৩০ বা ৪০ হাজার বছর আগের কথা। এলাকাটা ছিল মিঞ্চিন নামের এক বিশাল হ্রদের নিচে। নানা ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের চক্করে পড়ে একসময় প্রায় গোটা এলাকা শুকিয়ে যায়। রেখে যায় শুধু পোপো আর উরু উরু নামের ছোট দুটি পৃথক হ্রদ এবং সালার দে কোইপাসা ও সালার দে ইয়ুনি নামের দুটি লোনা জমি। এর মধ্যে সালার দে উয়ুনি আকারে বড়।
১২,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই মরুভূমি পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণাক্ত মরুভূমি। এখানে প্রায় ১০ বিলিয়ন টন লবণ সঞ্চিত আছে। এই সমভূমির পুরোটাই লবণ দিয়ে ঢাকা। দেখলে তুষার ভেবে ভুল করে অনেকেই। এই মরুভূমিটি অসম্ভব রকম সমতল আর স্থির। বর্ষায় এখানে জলের চাদর পড়ে। আর তার উপর যখন সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় তখন বালির স্তর হয়ে উঠে এক স্বচ্ছ আয়না। এটিই বোধ হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আয়না। আর এতে ফুটে ওঠে সুনীল আকাশের ছবি। দেখে মনে হয় পুরো আকাশটা নেমে এসেছে বিশাল এই মরুভূমির বুকে। স্বচ্ছ আয়নার এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ও ফটোগ্রাফাররা ছুটে আসে বলিভিয়ায়। “সালার দে ইয়ুনি” প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের এমন এক লীলাভুমি যা পৃথিবীতে অদ্বিতীয়।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply